“ধর্ম যার যার উৎসব সবার” এর থেকে ফালতু,গান্ডু মার্কা কথা আমি কখনো শুনি নাই। আর এই ফালতু কথা ধারন করার পক্ষে আমি না।আমি বিশ্বাস করি,ধর্ম যার উৎসব তার।আপনি স্যাকুলারিজম দিয়া বুকে তুলে নিচ্ছেন, সেই স্যাকুলারিজমের দোহায় দিয়ে ঠিকই এই দেশ ছাড়া হতে হবে।শেখ হাসিনা যত দিন আছে, হয়ত বেচে যাবেন।উনি থাকবেন না,আপনি ও এই দেশে থাকতে পারবেন না।কথাটা তিতা হলেও সত্য।আজকে বাংলাদেশে যা হচ্ছে ,ঠিক ৫০ বছর আগে পাকিস্তানীরা একই কাজ করেছে আমাদের উপর ।ইতিহাস বার বার ফিরে ফিরে আসছে ।দেশ জ্বলছে ,আমরা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি ।চিন্তার কোন কারন নেই ,প্রথমে হিন্দুদের বের করবে ,তারপর আমাদের।শেখ মুজিব সাহেব তো ,এই বাংলাদেশ চায় নাই।উনার সোনার বাংলা আজ আফগানিস্তানে পরিনত হচ্ছে।দেশে আজ একটা স্লোগান ই থেমে থেমে ,বেরে চলছে।আমরা সবাই তালেবান ,বাংলা হবে আফগান ।আমাদের এই দেশে অনেক কিছু নিয়ে কথা বলা পাপ।
আপনি পলাশীর যুদ্ধ নিয়ে সিরাজ উদ্দোলাহর বিপক্ষে বলবেন সেটা পাপ,১৯৪৬ সালের নোয়াখালীর দাঙ্গা নিয়ে কথা বলবেন সেটা পাপ, আপনি আর্মেনিয়ান গনহত্যা নিয়ে কথা বলবেন সেটা পাপ, এমন কি আপনি সংখ্যা লঘু নির্যাতন নিয়ে কথা বলবেন সেটা বলা তো মহাপাপ। দেখেন না,এক প্রিয়া সাহা কথা বলেছে,সে আর দেশে আসতে পারছেনা।প্রিয়া সাহা কি মিথ্যা বলেছিল? ১৯০১ সালে মোট জনসংখ্যার ৩৩% হিন্দু বাংলাদেশে বাস করতে।১৯৪১ সালে তা দাঁড়ায় ২৮%, দেশ ভাগের পর মানে ১৯৪৭ এর পর তা দাঁড়ায় ২২.৫%। মুক্তিযুদ্ধের আগে ১৮.৫% যুদ্ধের পর ১৯৭৪ সালে হয় ১৩.৫%। আর ৫০ বছর পর এখন ৯%.হিন্দুরা কি বাচ্চা জন্ম দিতে ভুলে গেছে নাকি? তাহলে কেন ওদের সংখ্যা কমছে। ১৯৪৬ সালের অক্টোবরে রায়েটের সময় ৭৫ থেকে ১লক্ষ হিন্দুকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে।৩০০ এর উপর নারীকে ধর্ষন করা হয়েছে।৫০০০ মানুষ কে হত্যা করা হয়েছে।যেমন টা আজ আফগানিস্তান এ করা হচ্ছে।বাংলাদেশের সকল সংখ্যা লঘুদের উচিত আগামী ৫ বছর পর কিভাবে বাংলাদেশ ত্যাগ করা যায় সে বিষয়ে চিন্তা করা। এই দেশ টা ক্রমে ক্রমে পাকিস্তান কিংবা আফগানিস্তান হয়ে যাচ্ছে।বাংলাদেশের সংখ্যা লঘু ভোটারের ৯০% ভোট বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ পায়। আমি সরকার কিংবা বিরোধীদলের কারো সমালোচনা করতে চাই না। আমি শুধু সংখ্যা লুঘু যারা আছেন তাদের বলতে চাই নিজেদের বাংলাদেশী ভাবা সর্বশেষ ভাবুন। আপনারা নিজেদের সন্তানকে বললেন বাংলাদেশ আপনার এক্স ছিল। অনেক ভালোবাসতেন, অনেক স্বপ্ন ছিল ঘর বাধার। মরনের দিন পর্যন্ত তাকে ভালোবাসতে চেয়েছিলেন কিন্তু পারেন নাই। তবে আপনার সন্তানকে এও শিখাবেন ঘর বাধতে না পারলেও বাংলাদেশ কে কোন দিন ভুলবেন না। পৃথিবীর যেদেশে ই যান নিজের সন্তানকে বাংলাদেশী ভাবাটা বাদ দিতে বলবেন। কারন আপনি ই সর্বশেষ বাংলাদেশী । খ্রিস্টান সমাজে যত গুলা ক্রেডিট ইউনিয়ন আছে সব গুলো ক্রেডিট ইউনিয়ন এর উচিত এমন একটা প্রোডাক্ট চালু করা, যেন কম সুদে যে কেউ দেশের বাইরে যেতে চাইলে তাকে হেল্প করা। সহজ শর্তে ঋন দেওয়া। তবে স্পেশাল একটা শর্ত দিতে হবে যেন উক্ত ঋন গ্রহিতা কমপক্ষে ৫ জন কে দেশের বাইরে নিতে সাহায্য করে। আর যার এই ঋনে র আওতায় বাইরে যাবে তাদের নৈতিক ভাবেই উচিত হবে দেশের থাকা মানুষ গুলাকে সাহায্য করা। একটা কথা মনে রাখবেন আপনি আক্রান্ত হলে কোন এসোশিয়েন আপনার পাশে থাকবে না। সর্বোচ্চ দুই তিন দিন মানব বন্ধন করবে তারপর সব শেষ। আপনার ব্যবস্থা আপনাকে ই করতে হবে। অন্য এলাকার কথা জানি না, তবে এইটুকু বলতে পারি ভাওয়াল আর আঠার গ্রাম এলাকায় ৯০% পরিবারের কেউ না কেউ ইউরোপ আমেরিকার থাকে তাদের উচিত সকল হিংসা বিবাদ ভুলে যে কোন ভাবে যারা অভিবাসন প্রত্যাশী তাদের কে অর্থ দিয়ে হোক বুদ্ধি দিয়ে হোক একটু সাহায্য করা। আমি জানি আপনারা যেদেশে থাকেন সে দেশ গুলা তে ডান পন্থী এবং অভিবাসন বিরোধিরা যেভাবে ক্ষমতায় আসেছে এই ভাবে চলতে থাকলে আমাদের দেশের বাইরে যাওয়া সম্ভব হবে না।তাই বাংলাদেশীদের ইউরোপ আমেরিকা যাওয়ার পথ বন্ধ হবার আগেই আপনাদের সাহায্য করা উচিত,নয়ত দেখবেন আপনার ই কোন আত্নীয় আজকের কুমিল্লার মত ঘটনা র স্বীকার। দেরী হবার আগেই সাহায্য করাটা আপনাদের নৈতিক দ্বায়িত্ব। খ্রিস্টান সমাজের যারা নীতিনির্ধারক রা আছেন, বিশেষ করে ফাদার,বিশপ গন আছেন কেঊ গেলে অত্যন্ত পক্ষে একটা সুপারিশ পত্র দেন, কারো ভিসা হোক আর না হোক। নিজের মনকে তো সাত্বনা দিতে পারব। ভারতে একটা আইন আছে,বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, পাকিস্তান থেকে যাওয়া সংখ্যা লুঘুদের ৫ বছর পর ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। এই সুযোগ টাও সংখ্যা লুঘুদের নেওয়া উচিত। চেতনা, আবেগ দিয়ে পানি ই খাওয়া যাবে কোন কাজ আর হবে না। ভারত থেকে দেশের বাইরে যাওয়া অনেক সহজ এবং কম খরচের। মোট কথা হল যেভাবেই হোক বাংলাদেশ ছাড়ুন আগামী ৫ বছরের ভিতরে। আপনি বাংলাদেশী কিন্ত আপনার পরবর্তী প্রজন্ম যেন বাংলাদেশী না হয়। আমি জানি আমার কথা কাউন্টার দেওয়া যাবে অনেক ভাবে কিন্ত বুকে হাত দিয়ে বলেন তো এই বাংলাদেশে আপনি নিরাপদ কিনা আপনার পরিবার নিরাপদ কি না। হুমায়ুন আজাদ স্যার বলেছিলেন, আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। ২০ বছর পর আরো ভয়ংকর বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি। তবে আওয়ামী সরকার থাকতে থাকতেই যা করার করতে হবে। পরে যে সুযোগ টাও পাবেন না। প্রবাসী এবং সমাজের নীতি নির্ধারক দের কাছে অনুরোধ সাহায্য করুন, বাংলাদেশে আটকে থাকা সংখ্যালঘুদের।
বিচারের বানী নিভৃতে কাদে