ইস্রায়েল দেশটি সমন্ধে আমার ছোট কাল থেকে জানার প্রচন্ড আগ্রহ।। বাংলাদেশে ইস্রায়েল সমন্ধে আলোচনা করা এক প্রকার নিষিদ্ধ। মানুষের নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি আগ্রহ সবসময় ই বেশী, আমার ক্ষেত্রেও বেশী।। ইস্রায়েল জাতীর ইতিহাস নিয়ে আমার একটা লেখা আছে।
যাই হোক,ইস্রায়েল রাস্ট্রের জন্ম কিভাবে হয়েছিল।আর জায়েন এ কি ভাবে ইস্রায়েল ব্যাক করল।।মার্ক টোয়েন ১৮৯৮ সালে, বলেছিলেন যে,ইহুদিরা যদি একটা রাস্ট্র গঠন করে,তা হবে,বিশ্বের সবচেয়ে উর্বর মস্তিষ্কের দেশ।।ঠিক এর ৫০ বছর পরেই ইস্রায়েল রাস্ট্র গঠিত হয়েছিল।যে ইহুদিরা দুই হাজার বছর ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মার খেয়ে খেয়ে ঘুরে মরেছে,তাদের জন্যই গঠিত হয়েছিল ইস্রায়েল নামের একটি দেশ।জায়নিজম যার মানে হলো, ব্যাক টু জায়েন বা চল জেরুজালেমে ফিরি।
ইহুদিরা বিশ্বাস করতেন যে,একজন মশিহা আসবেন এবং যিনি তাদেরকে সেই পূন্যভূমিতে নিয়ে যাবেন।আর যারা জায়নিজম এ বিশ্বাস করত,মশিহা নয় বরং নিজেদের উদ্যোগেই যেতে হবে জেরুজালেমে। ১৮৬০ সাল নাগাদ ইহুদি বিদ্যেষ এমন ভাবে জেগে উঠেছিল যে,ইহুদীদের প্রায় সব জায়গাতেই নির্যাতন করা হতো।।বিশেষ করে খ্রীষ্টানদের দ্বারা পশ্চিম ইউরোপের দেশে গুলোতে নির্যাতনের মাত্রা প্রবল হতে শুরু করে।কারন খ্রীষ্টানরা বিশ্বাস করত যে,ইহুদীরা যীশু খ্রীষ্টের মৃত্যুর জন্য দায়ী।তাই তাদের উপর নির্যাতন এমন কি হত্যা পর্যন্ত সংগঠিত হয়েছিল।নির্যাতনের মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌছে ছিল ইহুদিরা চিন্তা করতে লাগল তাদের জন্য এমন একটি জায়গা হবে,যেখানে ইহুদীরা শান্তি মত থাকতে পারবে।ইহুদি নির্যাতনের কিছু চিত্র না তুলে ধরলেই নয়।
১৮৮০ সালে রাশিয়াতে রাশিয়ায় সরকারী এবং বেসরকারি স্কুলে এক আইন পাশ করা হয়,যেখানে
ইহুদিদের জন্য নিদিষ্ট পরিমান ভর্তি কোঠা রাখা হয়,যেন ইহুদিরা বেশী পরিমান ভর্তি হতে না পারে।১৮৯১ থেকে ৯২ সালের মধ্যে বিশ হাজার ইহুদি কে মস্কো থেকে জোর করে বের করে দেওয়া হয়।। ১৮৮২ সাল থাকে ১৯১৪ সালের মধ্যে অস্ট্রিয়া, পোল্যান্ড, জার্মানী থেকে প্রায় ২৫ লক্ষ ইহুদি কে বের করে দেওয়া হয়। শুধু মাত্র ১৯০০ সালের দিকে ১৫ লক্ষ ইহুদিকে রাশিয়া থেকে বের করে দেওয়া হয়। এই ইহুদিদের বেশীর ভাগ অংশ আমেরিকায় এবং প্যালেস্টাইন এ পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।।
এত নির্যাতনের পর, ইহুদিরা চিন্তা করতে থাকে নিজেদের রাস্ট্রের।। জেরুজালেমের ফেরার।১৮৬২ সালে মোজেস হেস নামের এক ইহুদি লেখক লিখেন তার বিখ্যাত বই।রোম এন্ড জেরুজালেম। এই বইতে তিনি পৃথিবীর সমগ্র ইহুদীদের প্যালেস্টাইন এ ফেরার জন্য আহবান করেন।সেই সময়ই আরেক ইহুদি যার নাম ছিল পেরেটজ সমোলেস্কিন তিনি হিব্রু মাসিক পত্রিকায় লেখেন, তার বিখ্যাত প্রবদ্ধ “দ্যা ইটারনাল পিপল”।।তিনি বিশ্বাস করতেন যে,একদিন সমগ্র বিশ্বের কেন্দ্র স্থল হবে ইস্রায়েল আর ইহুদিরা তাদের পুরাতন ঐতিহ্য ফিরে পাবে।
সালটা ১৮৮০।।র্যাবাই স্যামুয়েল মহিলিভার নামে এক ইহুদি তিনি একটি রাজনৈতিক সংগঠন শুরু করেন। তার নাম দেন লাভার্স অফ জায়ান। তিনিই ইহুদিদের আহবান করেন যে,ইহুদিরা যেন প্যালেস্টাইন এ জমিক্রয় করেন।তার এই আহবানে সারা দিয়ে ইহুদিরা প্রথম প্যালেস্টাইন এ জমি ক্রয় শুরু করেন। রাশিয়া এবং পোল্যান্ড থেকে বিতারিত হওয়া ইহুদিরা দলে দলে ফিলিস্তিদের কাছ থেকে চড়া দামে জমি ক্রয় করা শুরু করে।জায়ান অফ লাভার্স বা জেরুশালেম প্রেমিক এই সংগঠনের আরেক জন গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন, জুডা পিন্সকার। তিনি রাশিয়ায় কিভাবে ইহুদিদের নির্যাতন স্বীকার হয়েছিলেন তা প্রত্যক্ষ করেছিলেন।তিনি ইহুদিদের উদ্দেশ্যে ঘোষনা দেন যে,ইহুদিদের লড়াই করেই বাচতে হবে।ইহুদিরা কেবল, নিজেদের রক্ষা করলেই হবে না, অন্যদের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে।আর ঠিক তখনই আর্বিভাব হয়,ইহুদিদের সবচেয়ে আলোচিত নেতা থিওডর হার্জেলের।
থিওডর হার্জেল সমদ্ধে না বললেই নয়।১৮৬০ সালে হাঙ্গেরির বুদাপেস্ট শহরের এক ইহুদি পরিবারে। তিনি আইন নিয়ে পড়লেও সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন।।কিন্ত তার এই জীবনে এক মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মত এক ঘটনা ঘটে।যা ইতিহাসে ড্রেফাস অ্যাফেয়ার নামে পরিচিত।কি এই ড্রেফাস অ্যাফেয়ার?১৮৯৪ সালে ডিসেম্বর ক্যাপ্টেন আলফ্রেড ড্রেফাস নামে ফরাসী সেনাকে গ্রেফতার করা হয়।জাতীতে উনি ছিলেন ইহুদী।উনাকে গ্রেফতার করা হয়,এক মিথ্যা অপবাদের কারনে। অপবাদ ছিল,উনি গোপনে জার্মানী সেনাবাহিনীকে সামরিক তথ্য সরবরাহ করেন।উনাকে সর্বশেষ এই মিথ্যা অপবাদেই জেলে ভরা হয়।কিন্ত ১৮৯৬ সালে এক তদন্তে জানা যায় ক্যাপ্টেন আলফ্রেড এই ঘটনার সাথে জড়িত নন।দায়ী অন্য এক ফরাসী অফিসার।এই ঘটনা ধামা চাপা দেবার চেস্টা করে ফরাসী সরকার।কিন্ত সেটা ততদিনে সংবাদ পত্রে ফাস হয়ে যায়।এবং ১৯০৬ সালে ক্যাপ্টেন আলফ্রেড কে সমস্ত দায় থেকে মুক্ত করে আর্মিতে মেজর পদে বহাল রাখে।
এই ঘটনা হার্জেলের মনে চরম ভাবে দাগ কাটে। তিনি দেখলেন যে,কিভাবে ফরাসী সমাজে ইহুদীদের ঘৃনা করা হয়।তার কানে বার বার ভেসে আসছিল,ইহুদিদের মেরে ফেলো,ইহুদিদের মেরে ফেল।তারপরই তিনি লিখেন তার বিখ্যাত বই”দ্যা জিউস স্টেট”।রীতিমতো সমগ্র বিশ্বের ইহুদীদের মধ্যে,ব্যাপক আলোড়ন তৈরী করলো।ইংরেজি,ফরাসী,হিব্রু,রাশিয়ান,রোমানিয়াম
,বুলগেরিয়ান, রাশিয়ান ভাষায় অনুবাদ করা হলো।।ইহুদিদের মনে গোড়ায় ফিরে যাবার আন্দোলন শুরু হলো নতুন উদ্যোমে।এই বই প্রকাশিত হবার পর, হার্জেলকে ইহুদিদের জন্য প্রথম জায়ানিস্ট কংগ্রেস করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।১৮ মাস পর প্রথম ১৮৯৭ সালে সুইজারল্যান্ডের ব্রাসেলস প্রথম জায়নস্টিক কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়।পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে ১৮৭ জন প্রতিনিধি অংশ গ্রহন করেন। এবং ছয়টি উদ্দেশ্য সেখানে স্থির করা হয়। হার্জেল সেদিন তার ডায়রিতে লিখেছিলেন “ব্রাসেলস এ আমি ইহুদি রাস্ট্রের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করলাম।জানি লোকে আমাকে পাগল ভাববে,কিন্ত ৫ বছর হোক কিংবা ৫০ বছর, এক দিন না একদিন ইহুদি রাস্ট্র গড়ে উঠবেই।।
হার্জেলের এই প্রস্তাব বেশীর ভাগ সম্ভ্রান্ত ইহুদী, দ্বিমত করলেও নিম্ন শ্রেনীর ইহুদিদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।তারা হার্জেল কে নাম দেন হার্জেল দ্যা কিং।কিন্ত হার্জেল ও ভুল করেছিলেন।তিনি ভাবতেন যে,কুটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে ইহুদি রাস্ট্রের জন্ম হবে।তাই তিনি ১৯০৩ সালে জায়নিজম কংগ্রেসে এক প্রস্তাব রাখেন উগান্ডাতে ইহুদি রাস্ট্রের জন্ম হবে।এই ভুলই হার্জেলের কাল ডেকে এনেছিল।যারা জেরুজালেমে ফিরে যেতে চেয়েছিল,তারা হার্জেল কে বিশ্বাসঘাতক বলে আখ্যায়িত করল।আর এই বিশ্বাস ঘাতক অপবাদ নিয়ে হার্জেল ৪৪ বছরে মৃত্যু বরন করেন।
জেরুজালেমে ফেরার জন্য ইহুদিরা জায়নিস্ট ফান্ড নামে এক ফান্ড তৈরী করে।যার প্রধান উদ্দেশ্যে, প্যালেস্টাইনে ইহুদিদের জন্য জমি কেনা।কিন্ত তুর্কি আর আরবদের কাছ থেকে জমি কেনা হলো চড়া দাম দিয়ে।১৮৮০ সালে প্যালেস্টাইনে ইহুদি ছিল মাত্র ১২০০০ হাজারের মত। কিন্ত ১৯১৫ সালে এই পরিমান দাঁড়ায় এক লক্ষ পনের হাজার।১৯১৭ সালে ২ রা নভেম্বর ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব আর্থার জেমস বেলফোর ব্রিটিস জায়নিস্ট লর্ড ওয়াল্টার রথস চাইল্ডকে এক খোলা চিঠি লেখেন। তিনি,ইহুদিদের জন্য আলাদা রাস্ট্র গঠনের জন্য প্রস্তাব দেন। যা বেলফোর ডিক্লারেশন নামে পরিচিত।
এটি আসলে ইহুদী জাতীর আবাস ভূমির প্রতিষ্ঠার জন্য ব্রিটেনের সমর্থন এর নিশ্চয় পত্র। যে ঘোষনা পত্র টি প্রকাশ করা হয় ৯ ই নভেম্বর ১৯১৭ সালে। বর্তমানের জাতিসংঘ, আগের নাম ছিল লীগ অব নেশন যা পরবর্তীতে ভেংগে যায়। সেখানে এটি গৃহিত হয়। কেন গৃহিত হয় জানেন? ২৭ শে নভেম্বর ১৮৭৪ সালে জন্ম নেয় এক জন মানুষ ইহুদী পরিবারে। উনার নাম ছিল ডক্টর চেইম উইজম্যান। উনি উন্নত ধরনের বিষ্ফোরক তৈরীর ফরমুলা আবিস্কার করেছিলেন। উইজন্টন চার্চিল ( যিনি একমাত্র রাজনীতিবিদ যিনি কিনা রাজনীতিবীদ হয়েও সাহিত্যে নোবেল পেয়েছিলেন) ততকালীন ব্রিটিশ প্রধান মন্ত্রী এই লোকটাকে ১৯১৬ সালে থেকে ১৯১৯ পর্যন্ত ব্রিটিশ এডমিরাল্টির গবেষনাগারের পরিচালক নিয়োগ দিয়েছিলেন ছিলেন। এই লোকটা চরম ইহুদীপন্থি ছিল।
এই লোকটার কারনে ব্রিটেন ইহুদী রাস্ট্র ঘোষনা দিতে বাধ্য হয়। চেইম উইজম্যানের বিষ্ফোরকের কারনে ব্রিটেন জিতে যায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধে। অটোম্যান শাসন আমলে থেকে প্যালেস্টাইন ছিল অনুন্নত অঞ্চল এবং অনুর্বর। কিন্ত বেলফোর ঘোষনার পর ইহুদীরা দলে দলে নিজ ভুমিতে ফিরতে শুরু করে।এবং চড়া দামে ফিলিস্তিনিদের কাছ থেকে জমি কিনতে শুরু করে।আর লোভী ফিলিস্তিরা চড়া দাম পেয়ে সেই জমি বিক্রি করতে শুরু করে। এই জমি গুলোতে ইহুদিরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফসল ফলাতে শুরু করে।আর শিল্প কারখানা গড়ে তোলে। উইজন্টন চার্চিল এর বেলফোর ঘোষনার পরও উইজন্টন চার্চিল এই ঘোষনা বাস্তবায়ন করে নি। উনি প্যালেস্টাইন থেকে জর্ডানকে বাদ দেন আর জর্দান নদীর পূর্বের ৭৬% শতাংশ আরবদের আর পশ্চিম দিকের ২৪ % ইস্রায়েল কে দেওয়া হয়। এই অসম বন্টন ও কিন্ত ইহুদীরা মেনে নেয়। ২৪ % কেন ইহুদীকে কেন দেওয়া হয়েছে এই বিষয়টি আরবরা মেনে নেয় নি। ১৯২০ থেকে ২১ এ বারবার ইহুদীদের আক্রমণ করে।এবং অর্ধ শতাধিক ইহুদিকে হত্যা করা হয়। এই থেকে ইহুদিরা আত্নরক্ষার স্বীধান্ত নেয়। আর এই কারনে ইহুদী আর আরবদের অনেক গুলো দাংগা হয়। ১৯২৯ সাল পর্যন্ত এই দাংগা গুলো সংঘোটিত হয়ে থাকে। ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর, দলে দলে ইহুদিরা আমেরিকা,ইউরোপ থেকে আসা শুরু করে।আর আরবদের সাথে ইহুদিদের দাংগার পরিমান বাড়তে থাকে। তার জাতি সংঘ এই দুই জাতীর জন্য দুইটা রাস্ট্র বানানোর ঘোষনা দেয়। সবাই এই স্বীধান্ত মেনে নিলেও মাথামোটা আরবরা সেটা মেনে নেয় নি। ১৯৪৮ সালে ১৪ ই মে ইহুদি রাস্ট্র গঠন করা হয় আর ঠিক এই রাস্ট্র ঘোষনার এক ঘন্টা পরে আরবরা ইস্রায়েল আক্রমণ করে। কিন্ত এমন গো হারা আরবরা হারছে যে জাতিসংঘ যে ভুমি ইস্রায়েল কে দিয়েছিল, ইস্রায়েল সেটার থেকে বেশী জায়গা দখল করে নেয়,এবং ইস্রায়েলের সীমানা বৃদ্ধি করে ফেলে।
এর মাস্টার মাইন্ড ছিল ইস্রায়েলের প্রধান মন্ত্রী ডেভিড বেন গুরিওন।এইবার আরবদের আম ও গেলে ছালাও গেলে। ওই দিন যদি আরবরা সেই প্রস্তাব মেনে যুদ্ধ না করত তাহলে আজ ফিলিস্তিনিদের এই অবস্থা হত না।বেজ্ঞামিন নেতাইয়ানহু, প্রায়ই বলে ভুল আরব রা করেছে,তাই তারা খেসারত দিচ্ছে।ইস্রায়েল সেই ভুল করবে না। ১৯৪৮ সালের ক্ষত মুছতে ১৯৬৭ সালে আবার আরব রা ইস্রায়েল আক্রমণ করে। মিশর, জডার্ন,সিরিয়া। এই যুদ্ধে ইস্রায়েল বিমান বাহিনীর কাছে খুব চরম ভাবে হারে আরবরা। মাত্র ৬ দিনে হেরে বিড়ালের মত লেজ গুটিয়ে পালায় আরবরা। আর ইস্রায়েল, সিরিয়ার কাছ থেকে গোলান মাল ভুমি আর মিশরের সিনাই পর্বত আর গাজা দখল করে নেয়। আর ইস্রায়েল জেরুজালেম কে রাজধানী ঘোষনা করে যদিও জাতিসংঘ সেটা মেনে নেয় নি।একটা জিনিস লক্ষ্য করবেন, ইস্রায়েল ডেম কেয়ার ভাবে চলে।জাতিসংঘ কি বলল না বলল সেটা এতটা মাথায় নেয় না। কারন ইস্রায়েল এর পিছনে আছে আমেরিকার মত শক্তিশালী রাস্ট্র।আর আমেরিকার সব বড় বড় বিজ্ঞানীরা হল ইহুদী বংশের। এই যুদ্ধে ইস্রায়েল জেরুজালেম এর ইহুদিদের অনেক পবিত্র জায়গা উদ্ধার করে নেয়। যেমন ট্যাম্পল অফ সোলায়মান, ওয়েন্টার্ন ওয়াল, দাউদের শহর। তবে এই যুদ্ধে ইস্রায়েল মিশর, আর সিরিয়ার দখলকৃত অনেক ভুমি দখল করে নেয়। ফিলিস্তিরা বেশি সন্তান জন্ম দেয় কারন এরা ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে।
পরিশেষে,বেন গুরিয়নের সেই উক্তি দিয়ে শেষ করতে চাই” ইন ইস্রায়েল, ইন অর্ডার টু বি রিয়ালিস্ট ইউ মাস্ট বিলিভ ইন মিরাকলস”আসলেই ইস্রায়েল এক অলৌকিক ভূমির নাম