,আমি আর এই ট্রাম্প এবং মার্কিন নির্বাচন নিয়ে লেখতে চাচ্ছিলাম না। আমেরিকার নির্বাচন হয়ে গেছে, ট্রাম্প হেরে গেছে তাতে আমার কিছু যায় আসেনা আর বাইডেন আসাতে ও আমার তেমন কিছু যায় আসে না। তবে আমার আগের লেখাটায় আমেরিকান এক নাগরিক মন্তব্য করল উনারা নাকি ট্রাম্পের পাছায় লাথি মেরে হোয়াট হাউজ থেকে বের করে দিবেন। ভাই, লাথি মারেন, মারেন, কাটেন যা ইচ্ছা তাই করেন আমার কিছু যায় আসে না। তবে আপনি ট্রাম্পের আমলের অর্থনৈতিক চিত্র পুরোপুরি জানেন না, সরকার আর রাজনীতি বিষয়ে ছাত্র হওয়ায় আমি শুধু ট্রাম্প আর ওবামার আমলের কয়েকটা অর্থনৈতিক চিত্র তুলে ধরব। আমেরিকান সিটিজেন, যদি সম্ভব হয় আমাকে শুধরে দিয়েন। আমি শুধু ৬টি পরিসংখ্যান তুলে ধরছি। ১.দারিদ্রতার হারঃ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার আমলে দারিদ্র্যতার হার ছিল ১২.৭ %।

সেই দারিদ্র্যতা ট্রাম্পের আমলে এসে দাড়িয়েছে ১০.৫ %। মানে ২.২ % কমে এসেছে দারিদ্রতা হার। ২.বেকারত্ব ঃ ওবামার আমলে দারিদ্রতার পরিমান এত বেড়ে গেছিলো যে রীতিমত কাজের জন্য মানুষ আন্দোলন করতে হয়েছে। বেকারত্ব বেড়ে দাঁড়িয়ে ছিল ৫.৩ %। আর ট্রাম্প,এই গাধার আমলে ৬৬ লক্ষ নতুন কর্ম সংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। বেকারত্ব এর পরিমান ৩.৭ %। ৩.এবার আসি জিডিপি তে, ওবামার ২০১৩ সালে জিডিপির পরিমান ছিল ১৬৭৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আর ২০১৫ তে ছিল ১৮২১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার তারমানে বৃদ্ধি ১৪৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।চলেন এবার দেখি ট্রাম্প গাধার আমলে কত হয়েছে। ২০১৭ তে জিডিপির পরিমান ছিল ১৮৭০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আর ২০১৯ এ হয়েছে ২১৪২৭ মার্কিন ডলার।বৃদ্ধি ২৭২০বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ট্রাম্প তো ভালা না ভালা লইয়া অই থাইকো।

৪.মাথাপিছু আয়ঃ জনাব ওবামা সাহেবের আমলে ২০১৩ সালে মাথাপিছু আয় ৫৩১১৭ মার্কিন ডলার আর শেষ হয় ৫৬৮২২ মার্কিন ডলার দিয়ে। আর মুর্খ ট্রাম্প উনার শুরু হয় ৫৭৯২৭ মার্কিন ডলার দিয়ে আর শেষ হয় ৬৫১১৮ মার্কিন ডলার দিয়ে। ওবামা তার শেষ ৪ বছরে মাথা পিছু আয় বৃদ্ধি করেছে ৩৬৪৫ মার্কিন ডলার আর ট্রাম্প বৃদ্ধি করেছে ৭১৯১ মার্কিন ডলার। তবুও ট্রাম্প ভাল না। তার পাছায় লাথি মেরে হোয়াট হাউজ থেকে বের করে দিবেন। ৫.আমদানী – রপ্তানী- প্রায় প্রতিটা দেশেই আমদানী থেকে রপ্তানীর পরিমান কম হয়। সে ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্ত রাস্ট্র এর ব্যতিক্রম না, তবে রপ্তানী থেকে আমদানী কম হওয়া প্রত্যেট দেশের জন্য কল্যান কর। সেক্ষেত্রে ওমাবার আমলে ২০১৫ সালে মানে লাস্ট ইয়ার ওবামারসে সময় ওবামার আমদানীর পরিমান ছিল ২.৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার আর রপ্তানীর পরিমান ছিল ১.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। পার্থক্য০.৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।

আর ট্রাম্পের শেষ বছর আমদানীর পরিমান ৩.১ ট্রিলিয়ন আর রপ্তানীর পরিমান ২.৫ ট্রিলিয়ন। পার্থক্য০.৬। তার পর ও ট্রাম্প ভাল না। সর্বশেষ আসি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে ওবামার আমলে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৩. ২ আর ট্রাম্পের আমলে ছিল ২.৪। ট্রাম্প তুমি ভুবনে ভুবনে, কাজ করে গেছ গোপনে গোপনে।একটা দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে বুঝা যায় দেশের অবস্থা কি.

One thought on “মার্কিন অর্থনীতির ওবামা কাল আর ট্রাম্প কাল।জেরী মার্টিন গমেজ”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *