মমতা ব্যানার্জির কাছে ,বাংলাদেশ আজ অসহায় ।

                             

পশ্চিম বংগে মমতা ব্যানার্জি ক্ষমতায় আসছে উনাকে স্বাগতম জানাই। কিন্ত ওনার দলের সমর্থকরা যে ভাবে পিটিয়ে মানুষ হত্যা করছে তা সত্যি এক কথায় বিভ্যৎস। পশ্চিম বংগের মিডিয়া জুড়ে মমতা ব্যানার্জির ৩ য় বার ক্ষমতায় আসার জয়গান যত না গাওয়া হচ্ছে তার থেকে বেশী দেখানো হচ্ছে কি ভাবে নির্মম ভাবে বিরোধীদের নির্যাতন করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১৪ জন কে হত্যা করা হয়েছে সেখানে যার। যার মধ্যে বেশীর ভাগ বি জে পি র কর্মী। মমতা ব্যানার্জি তেমন কোন উদ্যোগ ই নিচ্ছেন না, অনেক টা হত্যার মাধ্যমে বিজয় উল্লাস করতে দিয়েছেন নেতা কর্মীদের। ভারতের ইতিহাসে উনিই খুব সম্ভবত প্রথম মুখ্যমন্ত্রী যিনি কিনা হেরেও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। ১০ বছর ক্ষমতায় থেকে ১৫ বছর থাকার জন্য পাকাপোক্ত করেছেন নিজের জায়গাকে। মমতা ব্যানার্জী এই পদে জোর দাবীদার এই ব্যাপারে কোন দ্বিমত নেই আমার। মমতা ব্যানার্জি এই বার ভোট পেয়েছেন, মুলত একটা কারনে সেটা হল এন আর সি র কারনে। কারন পশ্চিম বংগের মুসলিমরা ভেবেছিল যে বিজেপি ক্ষমতায় আসলে পশ্চিম ভংগে এন আর সি হবে এবং নিজেদের কে ডিটেনশন কাম্পে পাঠানো হবে।আমার ধারনা সেটাই হত। তাই পশ্চিম বংগের ২৮% মুসলিম ভোট মমতা দি পেয়েছে।এই একটা মাত্র কারনে মমতা দিদি আবার নবান্ন দখল করেছেন।

মুসলিম তোষনের অভিযোগ মমতার বিরুদ্ধে বহুদিনের বিরোধিদের ।


মমতা ব্যানাজী মোট ভোট পেয়েছেন ২কোটি ৮৭ লক্ষ ৩৫ হাজার ৪২০।আর বিজেপি পেয়েছে ২ কোটি ২৮ লক্ষ ৫০ হাজার ৭১০। আসলে কি বিজেপি হেরেছে? ২০১৬ সালের বিধান সভা নির্বাচনে যে দল ৩ টি আসন পেয়েছে সে দল ২০২১ এ এসে ২৬ গুন বেশী আসন পেয়েছে। পেয়েছে ৭৭ টি আসন। ৫৫ লক্ষ ভোট থেকে বেড়ে হয়েছে ২ কোটি ২৮ লক্ষ।বিজেপি কি আসলেই হেরেছে, চিন্তা করেন একটু মন দিয়ে। পশ্চিম বংগে যে বাম কংগ্রেস ৩৫ বছর শাসন করেছে সেই বাম কংগ্রেস এই বার একটা আসন ও পাই নি। তার মানে সামনের দিন পশ্চিম বংগের লড়াই টা হবে বিজেপি এর মমতা দি র দল তৃণমূল কংগ্রেস এর ভিতর। বিজেপি সাম্প্রদায়িক বীজ বপন ঠিকিই করে দিয়েছে।
মমতা ব্যার্নাজী, পশ্চিম বংগের যুবসম্প্রদায়ের কোমড় ভেংগে দিয়েছে।ভারতে পশ্চিম বংগে বেকারের সংখ্যা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।ভারী কোন শিল্প পশ্চিম বংগে গড়ে উঠেনি গত ১০ বছরে।টাটাকে মমতা ব্যানার্জি ঝাটিয়ে বিদায় করেছিল এরপর থেকে কোন শিল্প গড়ে উঠেনি পশ্চিম বংগে। উনি এখন যুবকদের আলুর চপ শিল্প গড়ে তোলার কথা বলছেন।যুবক সম্প্রদায়কে ৫০০ টাকা করে যুবশ্রী দিচ্ছেন। উনি ভাল করেই জানেন উনি চাকরী দিতে পারবেন না।তাই ৫০০ টাকা ভিক্ষা দিচ্ছেন যুবক দের। গত বছর ৪লক্ষ কোটি টাকা লোনে জর্জরিত মমতা দির সরকার। ২০১১ সালে ছিল ২ লক্ষ কোটি । মানে ১০ বছরে দ্বিগুন।বামেরা ৩৪ বছরে যা করেছে মমতা দি ১০ বছরে তা দ্বিগুন করে দিয়েছে।

শুভেন্দু অধিকারী ,যার কাছে হেরে ও মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা।

. এবার আসি, আমি মমতা ব্যানার্জি বিপক্ষেই লিখেছি। যেখানে আমার দেশের স্বার্থ যেখানে জরিত, সেখানে আমি দেশের পক্ষেই থাকব। আমি ভাল করেন জানি এই মমতা ব্যানার্জি র কারনে আমাদের উত্তর অঞ্চল গুলোর জীবন তিস্তার পানি আমরা ঠিক মত পাচ্ছি না।বার বার মোদি সরকার বাংলাদেশ কে নায্য হিসসা দিতে চাইলেও এক মাত্র মমতার কারনে আমরা ঠিক মত তিস্তার পানি পাচ্ছি না। কম করে হলেও ১ কোটি বাংলাদেশী মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে তিস্তার পানির উপর নির্ভর শীল। যাদের বাড়ি উত্তর অঞ্চলে তারা খুব ভালো করেই জানে তিস্তার পানির অভাবে কি হচ্ছে সেখানে। আপনারা যারা মরুভুমি দেখতে চান তারা তিস্তার চর গুলা দেখে আসতে পারেন। এই মমতা ব্যানার্জির কারনে আজকে বাংলাদেশে আজকে মরুভুমি দেখতে পাচ্ছি। বাংলাদেশের এক শ্রেনীর মানুষ মমতা ব্যানার্জির জয়ে খুশি হলেও, আসলে বাংলাদেশ কিন্ত ঠিকিই ক্ষতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।

তিস্তা ,মমতার কারনে আজ মৃত ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *