১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলা বিহার উড়িষা ইংরেজরা দখল করে নেয় ।মুঘল সম্রাজ্য ততদিনে অনেকটাই নখ দাত ছাড়া বাঘে পরিনত হবার পথে ।ইংরেজরা সেই সুযোগটাই নিয়েছিল ।মীর জাফরকে আমি বিশ্বাসঘাতক হিসেবে কোন দিন ও মনে করি নাই ।আমার কাছে সিরাজদ্দোল্লাহ কোন কালেই বাংলার শ্রেষ্ঠ শাসক ছিল বলে মনে হয় নি ।বরংচ এই লোকটাকে আমি বিদেশী শাসক বলেই মনে করি ,যেমন টা ইংরেজদের ,মুঘলদের এবং সুলতানদের মনে করি ।আর মীর জাফর কে বিশ্বাসঘাতক কেন মনে করি না তার অনেক কারন আছে ।এই লেখাটা তে আমার কারন গুলো উল্লেখ্য আছে ।মীর জাফরকে কেন আমি বিশ্বাস ঘাতক মনে করি না।
যাই হোক মীর জাফরের পর মীর কাসিম ,এর পর সর্ব শেষ নবাব হন ,নিজামদ্দোল্লাহ নামের একজন ।আসলে এরা ক্ষ্মতায় থাকলেও ইংরেজরা মুলত শাসন করত ।অনেকটা পাকিস্তানের সরকারের মত ।দেশ শাসন করে শাহাবাজ শরীফ কিন্ত কি করতে হবে বলে দেয় সেনাবাহিনী ।১৭৬৫ সালে বাংলা বিহার উড়িষার দেওয়ানী লাভ করে ইংরেজরা ।ইংরেজরা দেশ চালালেও নবাবদের একটা অস্ত্বিত তখনো ছিল ।এই সমস্ত ভন্ডামী বাদ দিয়ে দিল্লীতে যখন মুঘল সম্রাজ্য যখন যায় যায় অবস্থা ,ঠিক তখন ১৭৭২ সাল লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংন্স বাংলা বিহার ঊড়িষার দ্বায়িত্ব লাভ করে ।এরপর অবশ্য ইংরেজরা শাসন কাজে মনোযোগ দেয়ায় এই অঞ্চলে শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার উপর নির্ভর শীল ছিল ।
লর্ড ওয়ারেং হেস্টিংস ।
হিন্দু সমাজে দুই জন মানুষকে দেবতাতূল্য বলে মানা হয় ।একজন রাজা রাম মোহন রায় আরেক জন ইশ্বর চন্দ্র বিদ্যা সাগর ।রাজা রামমোহন রায় সতিদাহ প্রথা বিলোপ করেছিলেন আর ইশ্বর চন্দ্র বিধবা বিবাহ প্রচলন করেছিলেন ,দুই জনই যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন ।রাজা রাম মোহন রায় ১৮২৮ সালে ২০ আগষ্ট ব্রাহ্ম ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেন ।এবং এতে বিশাল সংখ্যক মানুষ যোগদান ও করেন ।এই সমস্ত মানুষকে সঠিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে ১৮৩০ সালে সরকার এক শিক্ষা নীতি গ্রহন করেন ।এবং ১৮৩৫ সালের ২০ এপ্রিল লর্ড বেন্টিক এর কাছে জেনারেল কমিটি অফ পাবলিক ইন্সট্রাকশন একটি প্রতিবেদন দাখিল করে ।এতে এই অঞ্চলে শিক্ষার প্রসারের জন্য স্কুল কলেজ নির্মানের সুপারিশ করা হয়।তারই ধারাবাহিকতায় ১৮৩৫ সালের ১৫ জুলাই ঢাকা ইংলিশ সেমিনারি প্রতিষ্ঠিত হয় ।মিস্টার রেডজ নামে একজন ইংরেজ মিশনারীকে এই স্কুলের দায়িত্ব দেওয়া হয় ।১৮৩৫ থেকে ১৮৩৯ সাল পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন ।এই ঢাকা ইংলিশ সেমিনারীর বর্তমান নাম ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল ।মানুষের মাঝে ব্যাপক আগ্রহের কারনে এই সেমিনারিকে কলেজে রুপান্তর করা হয় ।যার নাম দেওয়া হয় ঢাকা সেন্ট্রাল কলেজ বা ঢাকা কলেজ ।জেমস টেইলর এবং মি গ্রান্ড এই দুই জনের নাম ঢাকা কলেজের ইতিহাসে স্বর্না অক্ষরে লেখা থাকবে ।একজন ছিলেন ঢাকার সিভিল সার্জন আর পরের জন ঢাকার ম্যাজেস্ট্রেট ।এই দুই জনের প্রচেস্টায় ১৮৪১ সালের ২০ শে নভেম্বর কলকাতার লর্ড বিশপ রেভারেন্ড ডানিয়্যাল উইলসন ঢাকা কলেজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন ।
ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল ।প্রায় দুইশ বছর হতে চললো স্কুলটার।
বিশপ রেভারেন্ড ড্যানিয়াল উইলসন ২ রা জুলাই,১৭৭৮ সালে লন্ডনে জন্ম গ্রহন করেন।তিনি এংলিক্যান ইভাঞ্জেলিক্যাল গ্রুপের সাথে জড়িত ছিলেন ।তিনি ১৮০৭ থেকে ১৮১২ সাল পর্যন্ত সেন্ট এডমন্ড হলের ভাইস-প্রিন্সিপাল ছিলেন ।সেন্ট জনস চ্যাপেল, এ সহকারী কিউরেট,, ১৮১২ থেকে ১৮২৪ সাল পর্যন্ত ;এবং সেন্ট মেরি চার্চ, আইলিংটন, এর ভিকার জেনারেল ছিলেন ১৮২৪ থেকে ১৮৩২ সাল পর্যন্ত।১৮৩২ সালে তিনি কলকাতা মেট্রোপলিটন এর প্রথম বিশপ হিসেবে মনোনীত হন ।১৮৫৫ সালে তিন কলকাতাতে ইংলিশ চার্চ এবং সেন্ট পল ক্যাথেড্রালের স্থপতি ছিলেন সেই সাথে ঢাকা কলেজের ও। তিনি ১৮৫৮ সালে মার যান এবং উনাকে সেন্ট পল ক্যাথেড্রালে সমাহিত করা হয় ।