লেখাটা শুরু করার আগে বলে নেই,বিশ্বাস, বিশ্বাসের জায়গায় আর তথ্য প্রমান অন্য জায়গায়।যদি কোন কারনে মনে হয় এই লেখা আপনার এত দিনের বিশ্বাসে আঘাত করবে, তাহলে না পড়াই শ্রেয়।।

সম্রাট শাহজাহান কে চিনে না, এই ভারত বর্ষে খুব কম লোকই আছে।।শাহজাহান মূলত বিখ্যাত তার প্রেমের স্মৃতি স্বারক তাজমহলের জন্য।কিন্ত এই তাজমহল কি আসলেই সম্রাট শাহাজাহান বানিয়েছিলেন নাকি হিন্দু মন্দির তেজো মহালয়া কে ভেংগে পরে তাজমহল বানানো হয়েছিল সেটা নিয়ে অনেক কাহিনী আছে।।সম্রাট শাহজাহান, যদি মমতাজ কে এতই ভালো বাসতো তবে,মমতাজকে ই বিয়ে করত।ভালোবাসা জনে জনে বিলি করত না।সম্রাট শাহজাহানের মমতাজ ছাড়াও আরো স্ত্রী এবং উপপত্নীদের তথ্য পাওয়া যায়।।যাই হোক সম্রাট শাহাজাহানের বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে নয়,বরং সম্রাট শাহাজাহান কে ঘিরে এক মিথের সম্পর্কে বলতে এসেছি।।

ব্যান্ডেল চার্চের কথা মোটামুটি প্রতিটা খ্রীষ্টানই জানে।।হুগলীতে অবস্থিত ব্যান্ডেল চার্চ উপমহাদেশে খ্রীষ্টান চার্চের ভিতর অন্যতম চার্চ এবং প্রথম সারির চার্চ।।হুগলিতে কিভাবে চার্চ প্রতিষ্ঠা করা হয়,সেই কাহিনী হয়ত আরেক দিন লেখা যাবে।সম্রাট শাহজাহান ৫ ই জানুয়ারী ১৫৯২ খ্রীষ্টাব্দে জন্মগ্রহন করেন।তিনি যখন সিংসাহনে বসেন তখন তার বয়স ৩৫ বছরের কাছাকাছি।তিনি ছিলেন সম্রাট জাহাঙ্গীরের দ্বিতীয় স্ত্রী মানাবতী বাই বা বিলকিস মাকানীর সন্তান।এখন সম্রাট জাহাঙ্গীরের আরেক স্ত্রী, ইতিহাস যাকে নুরজাহান নামে চিনে তার ভিতর এক দন্ধ শুরু হয়। কারন নুরজাহান কখনো চাইতো না যে,সম্রাট শাহজাহান সিংহাসনে বসুক। নুরজাহান চেয়েছিলো যে,সম্রাট শাহজাহানের ছোট ভাই শাহরিয়ার পরবর্তী মুঘল সম্রাট হোক।।সম্রাট জাহাঙ্গীর তাতে সম্মতি দিলে, সম্রাট শাহাজাহান ১৬২২ সালে সম্রাট জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষনা করে, আগ্রার নিকট এক যুদ্ধে লিপ্ত হন। সেই যুদ্ধে তিনি পরাজিত হন।পরাজিত শাহজাহান বঙ্গদেশে আশ্রয় গ্রহন করেন।সেই সময় হুগলীতে গর্ভনর হিসেবে ছিলেন পর্তুগীজ মানুয়েল রড্ররিক্স নামে একজন।। সম্রাট শাহাজাহান উনার কাছে সাহায্য চাইলেন।। কিন্ত মানুয়েল রড্রিরিক্স সম্রাট শাহাজাহান কে কোন প্রকার সাহায্য করতে রাজী হলেন না।কিন্ত সম্রাট শাহাজাহান কে সাহায্য করার জন্য এক পর্তুগীজ নাবিক যার নাম ছিল ম্যানুয়েল তাভারেজ, তিনি ছিলেন একজন দক্ষ নৌ যোদ্ধা, তিনি সম্রাট শাহাজাহানকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিলেন। কিন্ত শাহজাহান আবার যখন বাপের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গেলেন দেখা গেলো সেই তাবারেজ তাকে কোন সাহায্য করল না।বরঞ্চ, সম্রাট শাহাজাহানের জাহাজ থেকেই লুটপাট শুরু করল এবং তার স্ত্রী মমতাজের দুই জন দাসীকে তুলে নিয়ে খ্রীষ্টধর্মে দীক্ষিত করে।যা শাহজাহান ভুলতে পারে নাই।খ্রীষ্টান হিন্দুদের প্রতি শাহজাহানের এমনিতেই বিরুপ মনোভাব ছিল।।

সম্রাট শাহজাহান যখন সিংহাসনে বসলেন, তখন বর্তমানের আরাকান রাজ্যে মগদের সাথে মুঘলদের সম্পর্ক ছিল খুবই খারাপ।।কিন্ত এই মগদের সাহায্য করত পর্তুগীজরা। তারা সম্রাটের বিরুদ্ধে লড়তে মগদের সৈন্য এবং হিন্দুদের অপহরন করে, নৌ চালানোর প্রশিক্ষন দিয়ে মগদের নৌবাহিনীতে প্রেরন করত।এই সমস্ত কার্যকলাপ সম্রাট শাহাজাহান জানোট পেরে পর্তুগীজদের উপর প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হতে শুরু করলেন।

পর্তুগীজদের উপর চড়াও হবার আরো অনেক কারন ছিল শাহজাহানের। সম্রাট শাহাজাহানের এক ঘনিষ্ট লোক ছিল যার নাম ছিল মির্জা আজারীর। তার খুব সুন্দর স্ত্রীকে এক পর্তুগীজ অপহরন করে, দিয়াগো দেসা নামের একজন।। এই ঘটনাও সম্রাট কে রীতিমতো ক্রুদ্ধ করে।।

পর্তুগীজরা আরাকানের মগদের সাথে সুসম্পর্ক থাকাতে সেই অঞ্চলে নৌ পথে ডাকাতি করত।।অনেক হিন্দু মুসলিম কে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি করত।এই কারনেও শাহজাহান পর্তুগীজদের প্রতি রাগান্বিত ছিলেন। আর শাহাজাহান যখন ক্ষমতায় বসে ছিলেন, তিনি চেয়ে ছিলেন সবাই যেন তার রাজ্য অভিষেকে আসেন। এই মর্মে, তিনি হুগলীর গর্ভনরকে থাকার কথাও বলেছিলেন কিন্ত গর্ভনর সেই কথা রাখেন নি।।আর সম্রাট শাহাজাহানের হুগলী ব্যান্ডেল চার্চের সম্পত্তির দিকে বিশেষ মনোযোগ ছিল।।

এই কারন গুলোর জন্য সম্রাট শাহাজাহান পর্তুগীজদের সাথে যুদ্ধ করতে বেশী আগ্রহী ছিলেন।।

১৬৩২ সালে সম্রাট শাহাজাহানের সেই মাহেন্দ্রক্ষন এসে হাজির হয়।। তিনি পর্তুগীজদের ভারত বর্ষ থেকে বিতারনের স্বীধান্ত নেন।। প্রথমে গোয়াতে আক্রমণ করেন। কারন গোয়া ছিল পর্তুগীজদের মূল ঘাটি।।তিনি ভেবেছিলেন গোয়ায় পর্তুগীজ দের পরাজিত করতে পারলে হয়ত, হুগলীতে তিনি এমনিতেও জয় লাভ করবেন।। কিন্ত হলো বিপরীত। গোয়াতে সম্রাট শাহাজাহান গো হারা হারলেন।সেই রাগ তিনি, দেখালেন হুগলীতে, নিরীহ খ্রীষ্টানদের উপরে।।সেই সময় ব্যান্ডেল চার্চের সাথে মার্টিন আফনসো ডি মেল্লো নামের একজনের সাথে ব্যান্ডেল চার্চের মত বিরোধ চলছিল।।তিনি ব্যান্ডেল চার্চের মালিকানা নিতে চাচ্ছিলেন। কিন্ত চার্চ তাকে বার বার এই কু কাজে বাধা দিচ্ছিল।।তখন বাংলার সুবেদার ছিলেন কাসিম খা।এই কাসিম খা কেই সম্রাট শাহাজাহান ব্যান্ডেল আক্রমনের নির্দেশ দিয়েছিলেন।কিন্ত কাসিম খা ব্যান্ডেলে আক্রমণ করতে ভয় পাচ্ছিলেন।একেতো,ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তার উপর আবার পর্তুগীজদের অকুতোভয়, লড়াকু মনোভাব।।কিন্ত এই আফনাসো,কাসিম খা কে ভুল বুঝিয়ে যুদ্ধে নামিয়ে দিলেন।

১৬৩২ সালের ৩০ শে জুন।। কাসিম খা ১৪০০০ অর্শ্বরোহী সৈন্য,৯০ টি হাতি নিয়ে ব্যান্ডেল আক্রমণ করেন।। এই বিশাল সৈন্যদের সাথে পর্তুগীজদের ১৮০ জন সৈন্য আর ৬০০ এর মত দেশী সৈন্য এক অসম যুদ্ধে লিপ্ত হলো।কাসিম খা জানত, পর্তুগীজদের আটকানোর রাস্তা হচ্ছে,হুগলী নদীকে অবরোধ করে রাখা। তাই তিনি আর বিশাল সৈন্য বাহিনীকে দিয়ে হুগলী নদীর মোহনাকেও অবরুদ্ধ করে রাখলেন।পর্তুগীজদের ৬৪ টি বড় জাহাজ,৫৭ টির মত বজরা ২০০ এর মত নৌকা সেই দিন হুগলী বন্দরেই পরে রইলো।আরাকান আর চট্রগ্রামের পর্তুগীজরা ও সেদিন আর সাহায্য করতে পারে নি।তারপর ও এই অসম যুদ্ধে প্রথম দিনে পর্তুগীজরা জয় লাভ করল।।সেদিন পর্তুগীজ দের নেতৃত্ব দেন মানুয়েল দ্য আজাভেদো।তিনি হুগলীর সাধারন মানুষকে অনুরোধ করেন তারা যেন তাকে সাহায্য করে।

অবশেষ ১৬৩২ সালের ২৪ শে সেপ্টেম্বর প্রায় তিন মাস পরে মোঘলরা জয় লাভ করে।ধবংশ করা হয় ব্যান্ডেল চার্চ।সেদিন হুগলীর সাধারন বাসিন্দাদের নির্বিচারে হত্যা করে মোঘলরা।ব্যান্ডেল চার্চে দ্বায়িত্বরত, সাত জন ফাদারকে হত্যা করা হয়।। ঢাকায় অবস্থান রত ফাদার বানার্ড দ্য জীসাস কেও মোঘলরা হত্যা করে।।

কয়েক হাজার পর্তুগীজ কে বন্দি করা হয়।তাদের নিয়ে যাওয়া হয় আগ্রায়।।।১৬৩২ সালে ২৪ শে সেপ্টেম্বরে বন্দিকরা পর্তুগীজ খ্রীষ্টানদের পায়ে হেটে আগ্রায় নিয়ে যাওয়া হয় ১৬৩৩ সালের জুলাইয়ে।।এত দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে বন্দিরা ক্লান্ত হয়ে পরল।তাদেরকে বন্দি করে রাখা হলো,আগ্রার কারাগারে।।তাদের দুই টা শর্ত দেওয়া হল।১.খ্রীষ্ট ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করতে হবে।২.তাদের সবাইকে পাগলা হাতির সামনে গেলে হত্যা করা হবে……..

নির্দিষ্ট দিনে সমস্ত বন্দিদের একত্রিত করা হলো।পাগলা হাতী দিয়ে মানুষকে হত্যা করার নিষ্ঠুর দৃশ্য দেখার জন্য হাজার হাজার মানুষ জড় হলো সেদিন। সম্রাট শাহাজাহান ও এই দৃশ্য দেখার জন্য উপস্থিত হলেন। আসন গ্রহন করার পর ফার্সী ভাষায় লিখিত আদেশ লিপিটি সবার উদ্দেশ্যে পাঠ করে শোনানো হলো।।

“মহান আল্লাহর অনুগ্রহে, বিশ্বনন্দিত মহারাজা, ভারতের বাদশা, সম্রাটদের সম্রাট, ইসলাম ধর্মের ভাষ্যকার, মক্কার পবিত্র তীর্থ ক্ষেত্র গুলোর রক্ষক ও মহান নবীর ধর্ম রক্ষা কারক হিসেবে আমি ঘোষনা করিতেছি যে,উপস্থিত ব্যক্তিগন মহান আল্লাহ এবং ইসলামের শত্রু। আমি এদের বুনো হাতির পায়ের নিচে পিষ্ট করে হত্যা করার নির্দেশ দিচ্ছি।এই কাফেরদের,যথাপযুক্ত শাস্তি বিধানের জন্য বুনো হাতিগুলো আল্লাহর অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে”

এর পর চার জন মাহুত হাতির মাথায় জোরে আঘাত করল।পাগলা হাতি সেই আঘাতের পর দিক বেদিক খেয়াল না করে বন্দিদের দিকে ধাবিত হলো।।সারা উৎসুক জনতা তাকিয়ে রইল কিভাবে ইসলাম বিদেষীরা হাতির পায়ের নিচে পরে মারাযায়।কিন্ত কোন এক অদৃশ্য কারনে হাতী গুলো বন্দিদের কাছে গিয়ে থেমে যায়।হাতী গুলো এমন ব্যবহার করে যেনো,এই মানুষ গুলো তার অনেক চেনা।। সকল দর্শক স্তব্দ হয়ে রইলো।।সম্রাট শাহজাহানও নিস্তব্দ ভাবে লক্ষ্য করলেন যে,সেই হাতিগুলো বন্দিদের কাছে গিয়ে ঠাই দাঁড়িয়ে আছে।।সবচেয়ে বড় যে হাতীটি ছিল, সেই হাতীটি, সেটি বন্দী একজন ফাদার যার নাম ছিল, ফাদার জন ক্রুজ, উনার সামনে এসে শুড় দিয়ে ফাদারকে নিজের পিঠে উঠিয়ে নিল।পিঠে উঠিয়েই শুধু ক্ষান্ত হয় নি।সোজা সম্রাট শাহাজাহানের নিকট উপস্থিত হলো।এতে সম্রাট শাহাজাহান এবং উপস্থিত জনতা ভয়,এবং আতংকিত হয়ে পরল।সম্রাট শাহজাহান এই ঘটনায় এতটায় বিস্মিত হয়ে পরলেন যে,তিনি সেদিন প্রায় চার হাজার বন্দীকে মুক্তি দিলেন, শুধু মুক্তিই নয়,তাদেরকে সরকারে পক্ষ থেকে সসম্মানে আবার হুগলীতে প্রতার্বতন নির্দেশ দিলেন।।

এবার আসলে গল্প থেকে বাস্তবে আসা যাক।এই ঘটনা আসলে কত টুকু সত্য।আমাদের বুঝতে হবে,সম্রাট শাহজাহান এক কুখ্যাত লোক দিলেন, কুখ্যাত বলার অনেক কারন আছে।এটা নিয়ে আলোচনা করতে গেলে অনেক আলোচনা করা যাবে।কত শত হিন্দু মেয়েদের হেরেমের দাসী বানিয়েছেন,সেটার ইয়াত্তা নেই।হিন্দু মন্দির ভেঙ্গে মসজিদ বানিয়েছেন,আর তাজমহল নিয়ে সেই ঐতিহাসিক বির্তক এখনো বিদ্যমান। যাই হোক ওই দিকে না গিয়ে, মূল আলোচনায় আসি।।আমাদের এই ঘটনা কবে কখন লিপিবদ্ধ হয়েছে,সেটা জানা দরকার।। এই ঘটনা, প্রথম উল্লেখ্য করা হয় ১৮০৮ সালের এশিয়াটিক সোসাইটির পত্রিকায় প্রথম ছাপা হয়।এই ঘটনা লেখা ছিল ব্যান্ডেল চার্চের দপ্তর খানায়।। এর পরই এই ঘটনা লোক মুখে প্রচলিত হয়ে পরে। statistical of hooghly,গ্রন্থে Dr.wise নামে একজন ঘটনা আবার লিপিবদ্ধ করে ১৮৪২ সালে।।এবং ১৯১২ সালে L.S.S O’Malley সম্পাদিত Bengal District Gazetier, Hooghly তে আবার লিপিবদ্ধ করা হয়।। আর এই ভাবে একটি অসত্য কাহিনী সত্য হয়ে যায়।।

কিন্ত মূল ঘটনার দুই বছর পর ১৬৩৫ সালে ফাদার সেবাষ্টিয়ান মানরিক নামের এক ফাদার এই ঘটনার তদন্ত করেন। তিনি যারা বন্দী ছিল তাদের সাক্ষাৎকার নেন। দেখা গেলে বন্দীদের কেউই এই ঘটনার সত্যতা প্রকাশ করেনি।।তার মানে আমাদের বুঝতে হবে,এই ঘটনা শিষ্যদের কর্তৃক গুরুকে মহিমান্বিত করার এক অভিপ্রায়।।

প্রকৃত, সত্য হলো এই যে,সম্রাট শাহজাহানের মত একজন কুখ্যাত শাসক, যে কিনা বাপের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারে,সে কি এমনইতেই খ্রীষ্টানদের ছেড়ে দেবে??সম্রাট শাহজাহান যখন, বুঝতে পারলেন, চার হাজার পর্তুগীজদের হত্যা করলে এর প্রতিক্রিয়া হবে সবচেয়ে মারত্নক, তখন, হাতী গুলো যখন বন্দীদের পিষ্ট করবে, এর আগ মুহুর্তে তিনি বন্দীদের মুক্ত করে দেন।। কেন দেন,এর কারন ছিল অনেক। এর মধ্যে,প্রধান কারন ছিল নিজের গদি ঠিক করা।সম্রাট শাহজাহান, যখন ক্ষমতায় তখন, তখন বারো ভুইয়ারা বাংলায় ক্ষমতায়,যারা মুঘলদের ব্যশতা কখনো স্বীকার করে নেয় নি।এর ভিতর যদি চার হাজার পর্তুগীজদের হত্যা করা হয় এই আগুনের তাপ সহ্য করার ক্ষমতা সম্রাট শাহাজাহানের ছিল না।কারন তখন পর্তুগীজরা বাংলায়,আরাকানের অনেক অঞ্চল জুড়ে তাদের বসতি স্থাপন করেছে।এই খবর যদি পর্তুগীজদের কানে যায় তাহলে প্রতিশোধের আগুন দিকে দিকে জ্বলে উঠবে।এই আগুন সম্রাট শাহাজাহানের সিংহাসন পর্যন্ত পৌছে যেত।পুড়ে যেত পারত সেই সিংহাসন।। এই কথা মাথায় রেখেই পর্তুগীজ বন্দিদের মুক্তি দেয় সম্রাট শাহাজাহান।।

শুধু মুক্তিই দেন নি,ব্যান্ডেল চার্চকে ৭৭৭ বিঘা জমিও দান করেন।

সহায়ক গ্রন্থ:

১.সম্রাট শাহজাহানের জীবনী – বাদশানামা-আব্দুল হামীদ লাহোড়ী।

২.itnerio des las missiones- Sebastian manrique.

৩.Portuguese in Bangal-JJA.Campos

৪.Bandel Church and hooghly – SA.Carvalho

৫.বঙ্গদেশে খ্রীষ্ট ধর্ম এবং খ্রীষ্টীয় সম্প্রদায় -লুইস প্রভাত সরকার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *