প্রতিদিন ৮ জন খ্রীষ্টান কে হত্যা করা হয়, তাদের ধর্ম বিশ্বাসে জন্য। প্রতি সপ্তাহে গড়ে ১৮২ টি চার্চে হামলা করা হয়,প্রতি মাসে গড়ে ৩০৯ জন খ্রীষ্টান কে অন্যায় ভাবে বন্ধী করা হয়। ভাই আমি বলি নাই এইগুলা।এই তথ্য দিয়েছে,ওয়ার্ল্ড ওয়াচ লিস্ট,আর ওপেন ডোরস ইন্টারন্যাসনাল। আর কিছু দিন আগে আমি যে পোস্ট দিয়েছিলাম, আমি এই রিপোর্ট থেকেই দিয়েছিলাম। আজকে উপমহাদেশের একটি দেশ, পাকিস্তানের খ্রীষ্টান হত্যা এবং নির্যাতন নিয়ে কথা বলব। পাকিস্তান, খ্রিষ্টান হত্যায় শীর্ষে যে দেশঃপাক সার জামিন সাদ বাদ এই লাইন টা পাকিস্তানের জাতীয় সংগীতের প্রথম লাইন। এই লাইন টার প্রতি জ্ঞান হবার হবার পর থেকে তীব্র ঘৃনা আমার। আমি পাকিস্তান রাষ্ট্রটিকে কখনো কোন কিছুতেই সাপোর্ট করি না। কারন এরা সাপোর্ট করার মত কোন কাজ করছে বলে আমার এখনো পরে না। আর বর্তমান প্রধান মন্ত্রী ইমরান খান কে মনে হয় সবচেয়ে নির্লজ্জ বেহায়া প্রধান মন্ত্রী। এই বেহায়া, যে দেশ একে উপকার করে সেই দেশের সাথে বেইমানী করে।

এই পাকিস্তানের এক্সটার্নাল ঋনের পরিমান ১১২৮৫৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।এই দেশটার মোট ঋনের পরিমান পরিমান ২৫৬ বিলিয়ন ডলার। বুঝেন দেশেটার কি অবস্থা। যাই হোক আমি পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশে কে নিয়ে একটা ভিডিও বানিয়েছে,তুলনা মুলক পার্থক্য নিয়ে। আগ্রহী গন দেখতে পারেন। লেখার শেষে লিংক টা দিয়ে দিব। আসলে আমি যে বিষয় টানিয়ে বলতে চাচ্ছি সেটা হল কতটুকু নিরাপদ আছে পাকিস্তানের খ্রিষ্টান কিংবা সংখ্যা লঘুরা।গতকাল কে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করা হল পাকিস্তানের দুই খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী দের।কারন ওনারা নাকি ইসলাম ধর্ম অবমাননা করছে।তাই তাদের শাস্তি হল মৃত্যু দন্ড। পাকিস্তান একমাত্র দেশ যেখানে ব্রেসফেমীর মত জগন্য আইন চালু আছে। যারা এই আইন সমন্ধে জানেন না তাদের দুই লাইনে বলি, এটি হচ্ছে এমন একটা আইন যেটা দিয়ে যেকোন সংখ্যালঘু কে ফাসানো যায়। কোন মুসলিম যদি একবার বলে যে আপনি কোরান আর নবী মোহাম্মদ সমন্ধে কটু উক্তি করেছেন, তাইলে কাম সারছে।

আপনাকে ফাসীতে ঝুলতে হবে। এর জন্য কোন লিখিত প্রমান দরকার নেই। মুখের কথাই প্রমান।তবে হেতেরা বাইবেল বা যিশুকে নিয়ে কিছু বললে তাদের সাত খুন কিন্ত মাফ। যাই হোক এত কিছুর পর ও পাকিস্তান এ খ্রিস্টানদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।২০০৫ সালে ফয়সালাবাদে গীর্জায় আগুন দিয়ে পুরিয়ে দেওয়া হয়। স্কুল গুলোতে আগুন দেওয়া হয়। শুধু ধর্ম অবমাননার অজুহাতে। ২২ শে সেপ্টেম্বর ২০১৩ সালে পেশয়ার রে অল সেন্ট চার্চে আত্নঘাতী বোমা হামলা করা হয়। ১২ জন মারা যায় আর আহত হয় ২৫০ জনের বেশী। কারন টা যেহেতু বাংলাদেশে আছি নিরাপত্তার জন্য বলতে পারছি না। ১৫ ই মার্চ লাহোরে ২০১৫ সালে ইউহানাবাদ শহরে রোমান ক্যাথলিক চার্চে বোমা হামলা করা হয় ১৫ জন নিহত হয় ৭০ জন আহত হয়। কোয়াটায় ২০১৬ সালে গীর্জায় আবারো আই এস জংগী দারা বোমা হামলা করা হয়। মারা যায় ৯ জন। আহত অনেকে।এই রকম আরো হামলা র কথা বলতে পারব। লেখাটা বড় হয়ে যাচ্ছে সেই জন্য বলছিনা। ২০১৭ সালে ওপেন ডোর স নামে একটি জরিপে বলেছে যে ২০১৫ এর পহেলা নভেম্বর থেকে ২০১৬ এর ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সমগ্র বিশ্বে র মধ্যে সবচেয়ে বেশী খ্রিষ্টান ধর্মীয় কারনে হত্যা করা হয়েছে পাকিস্তানে। সংখ্যা টা ৭৬। এই সময়ে সারা বিশ্বে ১৩২৯ টি গির্জায় হামলা করা হয় যার মধ্যে পাকিস্তানে ই ছিল ৬০০ টি। ভাবেন। ভাবার সময় এসেছে। পাকিস্তানে প্রতি দিন খ্রিস্টান মেয়েদের কে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়।

আছিয়া বিবি র কথা হয়ত সময় হলে পোস্টের মাধ্যমে জানাবো। আপনারা শাহাবাজ ভাট্টির নাম শুনেছেন? তিনি ছিলেন পাকিস্তান এর একমাত্র খ্রীষ্টান মন্ত্রী। নির্মম ভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা করা হয় কারন উনি ব্লেসফেমী আইনের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন দেখে। পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী বলেন যে, ভারতের সংখ্যা লঘু নির্যাতন হচ্ছে। কেদে কেটে বাংলা সিনেমার নায়িকাদের মত বিছানা বালিশ কম্বল সব ভিজিয়ে ফেলছেন অথচ নিজ দেশের সংখ্যা লঘুরা কেমন আছে এই বলদ বলতে পারবেনা। এই বলদ, ফ্রান্সে কার্টুন ছাপানোর প্রতিবাদ করে,জাতীসংঘে গিয়ে আর চীনের উইঘুরে মুসলিমদের মেরে একাকার করে ফেলছে সেটা নিয়ে কোন কথা তো বলেই না উল্টো আরো চীনকে উৎসাহ দিচ্ছি মুসলিম নির্যাতনের জন্য। কারন বাপকে সাহায্য না করলে বাপ ঋন দিবে না।২০০৯ সালের পহেলা আগস্ট গুজরাতে, ৪০ টি খ্রিস্টান বাড়ি ও গির্জার ভিতরে যখন ৮ জন খ্রিস্টান কে পুড়িয়া মারা হয়েছিল, তাদের মধ্যে ছিল চারজন মেয়ে ( একজন ছিল গর্ভবতী) পুলিশ তখন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তালি দিচ্ছলো। ইমরান খান রা কোন দিনও এই হত্যা কান্ড গুলার প্রতিবাদ করে না,কারন নিয়াজী র বংশধরদের শরিরে বেইমানীর রক্ত বইছে। বিশ্বাস করেন আমি পাকিস্তান নামটা গালি হিসেবে ব্যবহার করি। রাগ হয়ে গেলে বলে ঊঠি তুই একটা পাকিস্তানের বাচ্চা। পাকিস্তান এর জন্য আমার কোন প্রকার সহানুভূতি নেই বরং আছে ঘৃনা ঘৃনা এবং শুধুই ঘৃনা।ও, আরেক টা কথা ইমরানের খানের নাম পুরোটা কি জানেন? ইমরান খান নিয়াজী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *